****বন্ধু শুধু তোমার জন্য****


দুঃখ গুলো থাক না পরে
সুখ গুলো সব তোমার তরে
বন্ধু তুমি থাকলে পাশে
মনের কথা বলব হেসে
বন্ধু তুমি পেলে কষ্ট
আমার মনেও লাগে কষ্ট
ভুলে যদি যাওগো মোরে
ভুলব তোমায় মরার পরে
বন্ধু শুধু তোমার জন্য
আমার জীবন টা হল ধন্য.

***বন্ধুত্ব হলো তোর মাঝে আমি আমার মাঝে তুই****


বন্ধুত্ব মানে একটি অন্তর আরেকটি অন্তরে বাসা বাঁধা
বন্ধুত্ব মানে না বলা কথাগুলো বন্ধুকে না বলা পর্যন্ত ঘুমোতে না পারা
বন্ধুত্ব মানে সকল বাঁধা ভেঙ্গে দেওয়া
বন্ধুত্ব মানে তুই তুই করে কথা বলা
বন্ধুত্ব হলো তোর মাঝে আমি আমার মাঝে তুই
বন্ধুত্ব হলো ডাকার আগেই হাজির হওয়া

***বন্ধুত্ব**





 বন্ধু
সে নয়,যে তোমাকে gift
দেয়।
বন্ধু হল সে,
যে তোমার টি
শার্ট
টি নিয়ে আর
ফেরত দেয় না।
বন্ধু
সে নয়,যে তোমাকে invite
করে।
বন্ধু হল সে,
যে তোমার
বাড়িতে এসে বলবে কি রান্না হয়েছে
খেতে দে।
বন্ধু
সে নয়,যে তোমাকে phone
করে দেখা করতে বলে।
বন্ধু হল সে,
যে তোমার বাসার
সামনে এসে বলবে *কই
দোস্ত*।
বন্ধু
সে নয়,যে তোমার
মৃত্যুর
পর
তোমায় ভুলে যাবে।
বন্ধু হল সে,
যে তোমার কবরের
পাশে গিয়ে কাদঁবে এবং বলবে এই
নে তোর *টি_
শার্ট*।
আর ফিরিয়ে দে
আমার বন্ধুত্ব।




**বন্ধুত্বটা মিষ্ঠি হয় **

অল্প অল্প মেঘ থেকে হালকা হালকা বৃষ্টি হয়. 
ছোট ছোট গল্প থেকে ভালোবাসার সৃষ্টি হয়.
আর মাঝে মাঝে এস এম এস দিলে বন্ধুত্বটা মিষ্ঠি হয়.

ভালবাসাতো ভাই!



 ফাহিমা আর তার বয়ফ্রেন্ড বসে গল্প করছে, এমন সময় পাগলি আর সুমি এসে হাজির।
এসেই প্রশ্ন করতে শুরু করে…
পাগলি: ওনি এটা কে রে?
ফাহিমা: আমার ভাই
সুমি: কেমন ভাই রে, চাচাতো?
ফাহিমা: না

পাগলি: মামাতো?
ফাহিমা: না
সুমি: খালাতো?
ফাহিমা: না
পাগলি: ফুফাতো?
ফাহিমা: না
সুমি: (রেগে গিয়ে) কি ভাই বলবি তো?
ফাহিমা: ও আমার ভালবাসাতো ভাই!


ইংরেজি

বিদেশ ফেরত ছেলেকে বাবা জিগ্গেস করছে-
বাবাঃ বিদেশে দিন কেমন কাটল?
ছেলেঃ খুব ভাল
বাবাঃ তুমি ইংরেজী কথা বলতে কোন সমস্যা হয় নি ত?


ছেলেঃ আমার কোন সমস্যা হয়নি। তবে যারা শুনেছে তাদেরসমস্যা হয়েছে

স্বামী-স্ত্রী

 গভীর রাত, স্বামী-স্ত্রী বেডরুমে।
কারেন্ট নেই, বাইরে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। মৃদুমন্দ বাতাস। স্ত্রী পেছন থেকে এসে স্বামীর গলা জড়িয়ে ধরল।
গালে গাল ঠেকালো। ফিসফিসিয়ে বলল..
স্ত্রীঃ ওগো...
- বলো।
- তুমি কি বুঝতে পারছ আমি এখন কী চাইছি।

- পারছি।
- কী?

- একটা IPS...!

আবুল

আবুল নামকরা বুয়েটে টিকে গেলেন এরপর তাঁর পা আর মাটিতে পড়ে না।
একে–ওকে নানান ধরনের উপদেশ–পরামর্শ দিয়ে বেড়াচ্ছেন।
একদিন পাড়ার এক বয়সী চাচা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন,
তা বাবা, কোথায় ভর্তি হলে?
আবুল খুব বিনয়ের সঙ্গে উত্তর দিলেন, চাচা, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে
চাচা হতাশ হয়ে বললেন, তোমার না বুয়েটে পড়ার শখ ছিল?
বুয়েটে চান্স পাও নাই, না?
মন খারাপ কইরো না, যেটাতে আছো সেইটাও খারাপ না!

পাগলী

পাগলী: ডাক্তার সাহেব ডাক্তার সাহেব, জলদি চলেন!
আমার স্বামী কে বাঁচান, ওকে সাপে কামড়েছে..!
ডাক্তারঃ সে কি!!
কোথায় কামড়েছে? হাতে না পায়ে?
ক্ষত স্থান থেকে একটু দূরে শক্ত করে বেঁধেছ?


 ...............পাগলী: জী ডাক্তার সাহেব, মাথায় কামড়েছে।
আমি বুদ্ধি করে ওর গলায়
গামছা দিয়ে শক্ত করে বেঁধে রেখে এসেছি।
বাঁধার সময় যদি-ও খুব ছটফট করছিল,
কিন্তু আমি পাত্তা দেই নাই...!

ভারতীয় সিরিয়াল

মধ্যে আলাপ চলছে মাসুম ও তার প্রেমিকার সাথে
মেয়ে: বিয়ের পরে আমার ফ্যামিলির কাছ থেকে কি নেবে?
- একটা জিনিস নিবো?
মেয়ে: মটরসাইকেল, যাতে আমরা একসাথে ঘুড়তে পারি!
- না
মেয়ে: ফ্রিজ!
- না, সেটাও না
মেয়ে: কালার টিভি!
- না
মেয়ে: তা হলে টাকা নিবা! যা ইচছা তাই কিনবা
- না তাও তো না!
মেয়ে: হানিমুনে যাবার ব্যবস্থা !!!
- না তাও না ...


মেয়ে: তাহলে কি? তুমি এবার বল, কি চাও? আমি ফেল করলাম!
- আমি তোমার ফ্যামিলির কাছে চাইব তা হল, একটাই জিনিস। বিয়ের পর তুমি আর ভারতীয় কোন সিরিয়াল দেখতে পারবে না!!
মেয়ে: এই কথা শুনার পরে ...... টুট টুট টুট
মাসুম: হ্যালো! হ্যালো! হ্যালো....হ্যালো!!!!

শিক্ষা

আজ আবিদের মন ভাল নেই। কারন ঘুম
থেকে উঠতে দেরি হয়েছে।সূর্য রোদ
ছড়াতে শুরু করেছে তখন। কোনো রকমে
ফজরের কাজা নামাজ পড়েই সিএনজিতে
চড়ে অফিসে যাচ্ছে। আজ কোরআন শরিফ
পড়া হয়নি। অন্যদিন দুই আয়াত হলেও পড়ে।
কোরআন শরিফটা অনেক পুরনো। আবিদের
বাবা পড়তেন এই কোরআন।বাবা বেঁচে
নেই। প্রায় পাঁচ বছর হয়েছে তিনি
কোরআন শরিফ পড়েন না। এখন আবিদ পড়ে।
প্রতিদিন সকালবেলা। ছুটির দিন অনেক
বেলা পর্যন্ত পড়ে। পড়ে যেন স্বাদ
মেটে না। বাবার একটা কথা খুব মনে
পড়ছে।বাবা বলতেন,কোরআন এক অসাধারণ
সাহিত্য। এমন সাহিত্য আর কখনো জন্মাবে
না। ঠিক সাহিত্য বললে ভুল হবে কিনা
জানি না। তবে আমার কাছে এটাই মনে
হয়। এটা সাধারন সাহিত্য না। আল্লাহর
তৈরি সাহিত্য। প্রতিটি শব্দের ভেতরে
নিগূঢ় রহস্য লুকিয়ে আছে।
এই কথাটা আবিদের বাবা তাকে বারবার
বলতেন। কিন্তু বাবা বেঁচে থাকতে সে
একথা বোঝেনি। এখন বোঝে। পুরনো
কোরান শরিফ টা আজও বদলানো হয়নি।
পুরনো কোনো জিনিস যদি প্রিয়জনকে
মনে করিয়ে দেয় তাহলে পুরনো সেই
জিনিস যেন মহামূল্যবান হয়ে ওঠে। কি
দরকার বদলানোর! কোরান শরিফটা পড়ার
সময় সে নিজের কণ্ঠস্বরকে চিনতে পারে
না। মনে হয় সে না, বাবাই পড়ছে। কি মধুর
কণ্ঠ ছিল বাবার। তখন আবিদের অডিও
রেকর্ডার মোবাইল ছিল না। থাকলে
রেকর্ড করে রাখতো। সারা জীবন শোনা
যেতো সেই সুললিত কণ্ঠ। বিজ্ঞান
জীবনকে সহজ করেছে। কতোই না
আরামদায়ক জীবন। জীবন সহজ হওয়ার
পাশাপাশি কঠিনও হয়েছে। সহজসরল
জীবনকে বিজ্ঞানে জটিল জালে
জড়িয়ে নিয়েছে সবাই। সবচেয়ে অদ্ভুত
বিষয় হচ্ছে নিজের সৃষ্টিকর্তার কথা ভুলে
গিয়েছে অধিকাংশ লোক। এই কর্মব্যস্ত
শহর দেখে আবিদ তা বুঝতে পারে। এই শহর
কখনো থামে না। রাত যায়, দিন যায়। তবুও
থামে না। আজানের সময়ও না। শহরের
অজস্র মানুষ আর গাড়ির কলহে আজানের
ধ্বনি যেন অস্পষ্ট মনে হয়। তবুও এই অস্পষ্ট
ধ্বনির মহত্ত্ব যারা বোঝে, তারা
নামাজে যায়। কেউ আল্লাহর ভয়ে
নামাজ পড়ে। কেউকেউ নামাজ না পড়লে
শান্তি পায় না, তাই পড়ে। কেউ বুঝে
পড়ে। আবার কেউ না বুঝে পড়ে।
আবিদের বাবা বলতেন, কাওকে ছোট
ভাববি না আবিদ। যারা নামাজ পড়ে না
তাদেরকেও না। যারা আল্লাহ ও আল্লাহর
রাসূল(স)-কে চেনে না,তারাই নামাজ
পড়ে না। তুই ওদেরকে ঘৃণা করবি না। যদি
পারিস তাহলে ওদেরকে বোঝাবি
আল্লাহর মহত্ত্ব, রাসূল(স) এর মহত্ত্ব। দেখবি
একদিন ওরাই আল্লাহকে তোর থেকেও
বেশি স্মরণ করবে।
.
হটাৎ সিএনজি টা জ্যামে আটকে গেল।
মোবাইলে সময় দেখল আবিদ। আফিস শুরু
হতে এখনো ঘণ্টা খানেক বাকি । কিন্তু এই
শহরের জ্যাম সময় গুলোকে খুব তাড়াতাড়ি
নষ্ট করে। জ্যামে আটকে পড়লে আবিদ
মস্তিষ্ককে অলস রাখে না,ভাবে। ভাবে
মৃত বাবার কথা,অসুস্থ মায়ের কথা। চোখ
বুঝলে মায়ের চেহারা স্পষ্ট ভাবে
ভেসে ওঠে। কিন্তু বাবার চেহারা সবসময়
স্পষ্ট হয়না। মাঝেমাঝে স্পষ্ট হয়। আবার
মাঝেমাঝে একেবারেই কল্পনায় আনতে
পারে না। এমন কেনো হয় জানেনা
আবিদ। আজ নিজেকে খুব একা লাগছে।
নিস্ব লাগছে। 'স্যার কয়ডা ট্যাকা দেন'
কথা শুনে আবিদ বাস্তবে ফিরে আসে।
কালো রঙের একটা ছেলে। কিন্তু চোখ
দুটি খুবই সুন্দর। আল্লাহ মানুষকে কোনো না
কোনো দিক থেকে সুন্দর করে। তিনি
তো করুণাময়, রাহমানির রহিম। স্যার দুইডা
ট্যাকা দেন, বলল সুন্দর চোখের ছেলেটা।
আবিদ জানে এই ছেলেগুলো বস্তিতে
থাকে।তাই মানিব্যগ থেকে টাকা বের
করতে করতে জিজ্ঞাসা করল, বস্তিতে
কে কে আছে তোমার? ছেলেটা
বলল,কেউ নেই। অবাক হলো আবিদ। বলল,
বাবা-মা নেই? ছেলেটা স্বাভাবিক
ভঙ্গিতে বলল,না। তারপর চলে গেল।
সামনের সিএনজিতে গিয়ে টাকা
চাচ্ছে। কেউ দিচ্ছে, কেউ দিচ্ছে না।
আবিদের এখনো মন খারাপ। নিজের জন্য
না। সুন্দর চোখের ছেলেটার জন্য।
কিছুকিছু দিন যেন মন খারাপের জন্য শুরু হয়।
বাবার আরো একটা কথা খুব মনে পড়ছে।
বাবা বলত,যখন খাদ্যের অভাব বোধ করবি
তখন ওদের কথা ভাববি,যারা পঁচা খাবার
খায়। যখন পোশাকের অভাব বোধ করবি
তখন ছেঁড়া কাপড়ের মানুষ গুলোর কথা
ভাববি।দেখবি নিজেকে নিয়ে মন
খারাপ হবে না। ওদের কষ্টের কাছে
তোর কষ্ট ছোট মনে হবে।
বাবা কখনো বলেননি,আমি যখন মারা যাব।
তখন মন খারাপ করবি না। আর যদি খুব কষ্ট হয়
তাহলে ওদের কথা ভাববি,যাদের জন্মের
পর থেকে বাবা-মা নেই।তাহলে দেখবি
আর আমার জন্য কষ্ট হবে না। বাবা একথা
বলেননি কখনো। কিন্তু আবিদের মনে
হচ্ছে একথাও তার বাবার। জ্ঞানী
মানুষেরা সব কথা সরাসরি বলেন না। কিছু
কথা কথার মাঝে রেখে দেন।
.
সিএনজি চলতে শুরু করেছে। মৃদু ঝাঁকুনিতে
মাথার ভেতর সুন্দর চোখের ছেলেটাকে
নিয়ে তালগোল পাকিয়ে যাচ্ছে।
ছেলেটা কি জন্মের পর থেকে কোনো
দিন মা-বাবাকে দেখেনি।নাকি বাবা-
মা যার যার মত আবার বিয়ে করেছে।
বস্তির বাবা গুলো সংসার,সন্তান ছেড়ে
আবার বিয়ে করে। কিন্তু মা গুলো করে
না। করলেও সন্তানকে সাথে নেয় যায়।
তাহলে সুন্দর চোখের ছেলেটার মাবাবা
কেউ নেই কেনো? নাকি মা মারা
গেছে? আর ভাবতে পারছে না আবিদ।
বেশি ভাবলে তার মাথা ব্যথা করে। তাই
ভুলে যেতে চেষ্টা করছে। কিন্তু পারছে
না। মনের ভেতর আরো শক্ত ভাবে শিকড়
গেড়ে বসছে ছেলেটা। ছেলেটাকে দশ
টাকা দিয়েছিল। এখন তার মনে হচ্ছে
আরো কিছু টাকা দিতে পারলে ভাল
হতো। সুন্দর চোখের ছেলেটা যে এত
পাকাপোক্ত ভাবে তার মনে স্থান করে
নেবে সেটা ভাবিনি আবিদ। আরো কিছু
টাকা না দিতে পেরে প্রচণ্ড রকমের মন
খারাপ হচ্ছে । আজ আর অফিসে যেতে
ইচ্ছে করছেনা।কাজে মন বসবে না।তাই
মত পাল্টেছে।সিএনজি চালককে ভাড়া
দিয়ে সে নেমে গেল।মায়ের কাছে
গেলে কেমন হয়?আবিদের মা জাহানারা
বেগম গত দুইমাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি
আছেন ।হাটতে পারছিলেন না তাই
হাসপাতালে রাখা হয়েছে।একজন নার্স
সব সময় তার পাশে থাকে।নার্সের নাম
সোমা।আবিদের মা নাম বদলে দিয়েছে।
প্রথম দিন হাসপাতালে গেয়েই নাম বদলে
দিয়েছে।জাহানারা বেগম বললেন,মা
তোমার নাম কি?
মেয়েটা বলল,সোমা।
জাহানারা বেগম বললেন,সোমা কোনো
নাম হলো! তুমি মুসলমানের না? মুসলমানের
মেয়ের নাম হবে মুসলমান ,মুসলমান।
তোমার নাম জান্নাতুল ফিরদাউস।জান্নাত
ুল ফিরদাউস কিসের নাম জানো?
বেহেস্তের নাম।এক নম্বর বেহেস্ত ।
কয়টা বেহেস্ত আছে জানো?
মেয়েটা বলল, আটটা না নয়টা খালা?
জাহানারা বেগম পড়লেন মহাবিপদে।মনে
করতে পারছেন না।এখন কি জবাব দেবেন।
স্বাভাবিক ভাবে আবিদকে বললেন,তুই
বলতো কয়টা?
আবিদ বলল,মনে নেই।
জাহানারা বেগম বললেন,তা কেনো মনে
থাকবে।গাদাগাদা গল্পের বই পড়ো
তাহলে মনে থাকবে।যাও আমার সামনে
থেকে ধুর হও।
আবিদ চলে গেল।জাহানারা বেগম
রেগে গেলে তুই থেকে তুমিতে আসে।
অধিকাংশ লোক আপনি,তুমি থেকে
তুইতোকারিতে আসে।আর উনি আসেন
উল্টো।আবিদের বাবার সাথে ঝগড়া হলে
তুমি থেকে আপনিতে যেতেন।আবিদের
বাবা মিচকে মিচকে হাসতো।
.
আবিদ মায়ের পাশে বসে আছে।
জাহানারা বেগম দুদিন ধরে কথা বলতে
পারছেন না।সোমা মেয়েটা
কেঁদেকেটে অস্থির।আবিদ লক্ষ্য করল
মেয়েটা তার মাকে খালা বলছেনা,মা
বলছে।আবিদ মায়ের কাছে গেল।মার মুখ
নাড়ছে,কিন্তু কথা বের হচ্ছে না।আবিদ
বলল,মা তুমি কি বলছো? কিছু বুঝতে
পারছিনা।
জাহানারা বেগম কাঁদছেন।নীরব কান্না।
শুধু চোখ থেকে পানি পরছে,শব্দ হচ্ছে না।
মহান আল্লাহ সবকিছু হয়তো নির্দিষ্ট
পরিমাণ দেন।সেই পরিমাণ অতিক্রম করতে
দেন না।জাহানারা বেগম সারাজীবন
অনেক কথা বলেছেন। হয়তো কথার
পরিমাণ শেষ হয়ে গিয়েছে।তাই
সৃষ্টিকর্তা তার কথা বলা ক্ষমতা কেড়ে
নিয়েছেন।আবিদের চোখে পানি টলমটল
করছে।সে চোখের পানি লোকানোর
চেষ্টা করলো।তাড়াতাড়ি উঠে
হাসপাতালের বারান্দায় গেলো।চোখ
মুছলো।তারপর আবার ঘরে ঢুকলো।হটাৎ
মনে হলো মা কথা বলছেন।বলছেন,আবিদ
তুই কাঁদছিস কেনো?সব মানুষ কি কিয়ামত
পর্যন্ত বেঁচে থাকবে? কিন্তু না।আবিদ
দেখলো মা চোখ বন্ধ করে আছেন।হয়তো
ঘুমিয়ে পড়েছেন।মৃত্যুর সময় মানুষ হটাৎ
করে ঘুমিয়ে পড়ে।আবার হটাৎ করে
জেগে ওঠে।এই ঘুমকেই সম্ভবত কালঘুম
বলে।হয়তো জাহানারা বেগমের মৃত্যুর
সময় হয়েছে।আবিদ কিছু সময় মায়ের পাশে
বসে থেকে উঠে দাঁড়ালো। মাকে
ডাকলো না।বড়বড় পা ফেলে সিঁড়ির
দিকে গেলো। সিঁড়িতে পা দিতেই মনে
হলো সোমা নামের মেয়েটা চিৎকার
করে কাঁদছে। সে ফিরে গেলো।কই
কেউতো কাঁদছে না।আপন মানুষের মৃত্যু
আগে থেকে বোঝা যায়।সৃষ্টিকর্তা এই
ক্ষমতা মানুষকে দিয়েছেন।আবিদ সিঁড়ি
দিয়ে নেমে গেল।মোবাইলে টাকা
নেই। টাকা ভরতে হবে মায়ের গ্রামের
বাড়িতে ফোন করতে হবে।সেখানে
মায়ের চাচাতো ভায়েরা,বোনেরা
আছেন।বাবার গ্রামের বাড়িতেও ফোন
করতে হবে।আবিদ শক্ত রাস্তার উপর দিয়ে
হাটছে।এই শহরের অধিকাংশ মানুষ শক্ত
রাস্তার মতো শক্ত হয়ে গেছে।তারা
অতি সহজে ভেঙে পড়েনা। আবিদ শক্ত
হতে চেষ্টা করছে।কিন্তু পারছেনা।
চিৎকার করে কান্না করতে ইচ্ছে করছে।
কিন্তু পারছেনা।গলা যেন আটকে আসছে।
চোখ থেকে পানি পরছে।এই শহরে অনেক
মানুষ। সবাই ব্যস্ত। কেউ বলছে না যে,এই
আবিদ,কাঁদছিস কেনো? আমরা তো আছি।
কেউ বলছে না,কেউ না।
.
জাহানারা বেগম মৃত্যুর আগে ছেলের
হাতে একটা কাগজ ধরিয়ে দিয়ে
গেছেন।কাগজে লেখা,
বাবা আবিদ ,পৃথিবীর অধিকাংশ লোক
সুনাম অর্জনে ব্যস্ত।পৃথিবীর সুনাম আসল
সুনাম না।সুনাম আশা করা ঠিক না।ভাল
কাজের ফল পাবে পরকালে।সেই ফল
পৃথিবী থেকে পাওয়ার আশা করো না।
আমাদের নবীজি সারাজীবন কষ্ট
করেছেন।তিনি যশ খ্যাতির ধার ধারেন
নি।বাবা,তোমাকে অনুরোধ করছি,তুমি
সোমা নামের মেয়েটাকে বিয়ে করো।
আমি তাতে শান্তি পাব।মেয়েটির
বাবামা নেই।মামার সংসারে থেকে
মানুষ হয়েছে। মেয়েটাকে বিয়ে করলে
হয়তো যশ খ্যাতির অধিকারী হতে
পারবেনা।তবে সুখে থাকতে পারবে।যশ
খ্যাতি যে তুচ্ছ ব্যাপার সেকথা
তোমাকে অনেকবার বলেছি।আশা করি
আমার শিক্ষা বিফলে যাবেনা।
.
জাহানারা বেগমের
যায়নি।আবিদ মেয়েটাকে বিয়ে
করেছে।তাদের একটা মেয়ে হয়েছে ।
নাম ফাতেমা।মুসলমান,মুসলমান নাম।
মেয়েটার বয়স পাঁচ বছর।মেয়েটা
জাহানারা বেগমের একটা বৈশিষ্ট্য
পেয়েছে।রেগে গেলে তুই থেকে তুমি
,তুমি থেকে আপনিতে যায়।মেয়েটা
আবিদকে বলছে,আপনাকে চলে যেতে
বলেছি না।যাচ্ছেন না কেনো। না
গেলে আমি আম্মুকে ডাকবো।যান এখান
থেকে,যান বলছি। জান্নাতুল ফিরদাউস
দরজার কাছে দাঁড়িয়ে নিঃশব্দে
কাঁদছে। হারিয়ে যাচ্ছে
অতীতে,হাসপাতালের সেই দিন
গুলোতে।
শিক্ষা বিফলে

অনুভবে

মনে করো আমার কিছুই ভালো লাগছেনা
মন চাইছে খুব করে তোমার স্পর্শ অথবা কিছু সময় কথোপকথন।
মনে করো আমার মনে ভালো লাগার উচ্ছাস দূর্বার
মন চাইছে তোমার ফোনালাপ নয়তো বার্তা আদান প্রদান।
তুমি জানবেনা কোনোদিন
আমি তখন তোমাকে খুঁজেছি অপার শূন্যতায়
আকাশের নীলিমায়,বৃষ্টির ধারায়,চোখের জলের ভাষায়।
কোনো অভ্যাসের ভালোবাসায় বাঁধতে নয়
ভালোবাসাকে মুক্ত ঝরনার মতো ঝরাতে চেয়েছি।
মুক্ত করে দিয়েছি ভালোবেসে
ভালোবাসা শুধু বন্ধনেই পরিপূর্ণতা নয়।
মুক্ত আকাশে ভালবাসার অবাধ বিচরণক্ষেত্র
ভালোবাসার অনন্ত বন্ধন।
অভ্যাসের ভালোবাসা সে কখনই নয়
বৃত্তের বাহিরে স্পর্শের এক পশলা বৃষ্টি হয়ে ঝরে যাবো
কখনও একযুগ পরে কখনও সময়ের দাবীতে।
একটু খানি স্পর্শের শিহরণে বয়ে যাবে
সব অভিমানের নীলচে মেঘ।
যত দূরে যেখানেই ছিলে
অনুভবে ছুঁয়ে ছিলে পুরোটা জুড়ে।
ভালোবাসা বেঁচে থাক বিশ্বাসে"

####বেনামী চিঠি ###



অনেক অনেক বছর পর আজ লিখতে
বসলাম ,শুধূ তোমাকে কি ? না আমার মনে থাকা হাজারো সৃত্বিকে জাগিয়ে তোলা যারা
ঘুমিয়ে ছিলো প্রচন্ড এক অভিমান নিয়ে ?বেলকনিতে বসে আছি, চাঁদের আলোতে ভাসছে পৃথিবী
,জানোতো এখন আর তেমন করে দেখা হয়না জোছনা মনে হয় জোছনাতে দেখার কিছু নেই সে যেন প্রতিদিনের সব কাজের মতই স্বভাবিক একটা ঘটনা মাএ যাকে ইচ্ছা করলেই এড়িয়ে যাওয়া যায় অনায়াসে ।অথচ এইতো মাএ কয়েকবছর হলো এই জোছনায়ই তোমাকে ঘরে থাকতে দিতো না তুমি বেরিয়ে পড়তে রাস্তায় আর আমাকেও তুমি বেরিয়ে আনতে ছাদে….তারপর স্বপ্নের জাল বুনা
সারারাত ধরে । কখনও সে ঘর হতো কোন নির্জন দ্বীপে ,কখনও সেটা কোলাহল ছাড়া ছোট কোন গ্রামে অথবা কখনও সেটা হতো পাহাড়ী কোন নদীর পাশে ।আর আমি ভেসে যেতাম তোমার দেখানো স্বপ্নের স্রোতে ।
একটা প্রিয় কবিতার লাইন মনে
পড়ছে “ভালবাসা যে মানুষকে এতোটা অসহায় করে তুলতে পারে সেটা তোমাকে দেখার আগে জানা
ছিলো না “ যেদিন আমি বলেছিলাম তোমাকে “আমি বাকি জীবনটা তোমার সাথে থাকতে চাই “
সেদিন কি অসহায় দেখাচ্ছিলো তোমাকে .তুমি আমাকে অনেক ঘন্টা ধরে শুধূ একটা কথাই
বুঝিয়েছিলে বাস্তবতা কি!! আমি সেদিন কিছুই বলিনি তোমাকে শূধূ মাধা নিচু করে তোমাকে
বুঝিয়েছিলাম যে  আমি বুঝেছি ,তবে এতোদিন পর আজ সত্যিই জানতে ইচ্ছা করছে আসলেই কি ভালবাসাটা এতোটা অসহায় যেখানে মা-বাবা ,সমাজ ,টাকা সবকিছুর কাছে হেরে যায় ?তাহলে মানুষ ভালবাসে কেন ? কেন করে এই ছল?কেন বলে তোমাকে ছাড়া বাচতে আমার সত্যিই অনেক কষ্ট হবে? তাহলে সবই কি মিথ্যা ?
কত প্রশ্ন আজ মাধায় ঘুরপাক খাচ্ছে শুধু উত্তর দিয়ার জন্য তুমি কাছে নেই !! আর যদি কাছে থাকতেও তুমি কি কোন উত্তর দিতে পারতে ? ধুর!! তখন থেকে কি আজেবাজে ভেবে চলেছি ,যেটার কোন উত্তর হয়না সেটার প্রশ্ন থাকাটাও ঠিকনা !মনে পড়ে তোমার সেই সন্ধ্যাটার কথা যখন সূর্য ডুবে যাচ্ছিলো ,পাখিরা ফিরছিলো তাদের চেনা ঘরে ,আমি ছিলাম আনমনা যদি এমন একটা সন্ধ্য আবার আমাদের জীবনে না আসে ,তোমাকে কথাটা বলতেই হেসে বলেছিলো সন্ধ্যা তো প্রতিদিনইহয়,হুম আজও সন্ধ্যা হয় প্রতিদিনের মত শুধু সূর্যডুবার অথবা পাখিদের ঘরে ফেরার
সময় তুমি আজ আমার পাশে থাকোনা ,আর আমিও এখন আর অনমনা হইনা , মনেই থাকেনা  কখন সন্ধ্য হলো ,সূর্যটা ডুবলো কি ? ভুল করে যদিও বেলকনিতে গিয়ে দাড়িয়ে পড়ি সন্ধ্যার মৃহুর্তে তবে বিরক্ত লাগে পাখিদের ডাকাডাকি কি অসহ্য এতোডাকার কি আছে ?পৃথিবীটা কত বদলে যায় তাইনা ? কি জানি হয়ত সবই ঠিক আছে শুধু বদলে গেছি আমি না হলে কি এতোটা চুপচাপ জীবন চলতো ?যে আমার কথা বলার জন্য তোমার প্রয়েজনীয় কথাটাই বলা হতো না !!
আজ কেন জানি মনে হচ্ছে জীবন চলে যায় জীবনের নিয়মে ,কারো জন্য সে থেমে থাকে না , শুধূ মাঝে থেকে হারিয়ে যায় কিছু প্রিয় মানুষ ,কিছু প্রিয় মুহর্ত ,কিছূ ভাললাগা ,কিছ ……..তবুওতো বেছি আছি এটাই যথেষ্ট আমার জন্য !!ভালো থেকো ,যেখানেই থাকো ,এটা মন থেকেই চাওয়া !!!!!


   ...............................ভাবনা

কষ্ট

জানি প্রয়োজন নেই তবুও তোমার কাছে যা্ওয়া
তোমার দুষ্টমি ভরা ভালবাসা শুনতে নয়


তোমার রেগে দিয়ে বলা কথাগুলো শুনতে হয়ত
কারণ সামনের পথগুলো চলতে গিয়ে
কারো ভালবাসায় পথটা পিছল হোক চাইছি না
কঠিন কথাগুলো মনকে পাথর করে দিক
আর কোন কষ্ট যেনো না ছুয়ে যায় আমাকে!!!

 ...............................ভাবনা

ভালবাসা বেড়ে যায়

আমি ভালবাসি যারে
সেকি কভু আমার
হতে দূরে যেতে পারে!!
---রবীন্দ্রনাথ ঠাকূর

কি বিশ্বাস কি ভরসা নিয়ে কথা গুলো লেখা .তবুও সে চলে যায় অথবা বলা যায় তাকে যেতে হয় দূরে ।

যাকে এতোটা ভালবেসে আকড়ে থাকতে চাই বুঝিনা তার মনের কথাটা ,সেও কি অামার মত অমাকেই ভালবাসে ? নাকি অমার জন্য তার মনে জায়গা নেই একফোটা .যদি ভালবাসেই তবে কেন সে দূরে রাখে অামাকে ? ইচ্ছা করে নাকি  অসহায় হয়ে ....!!! তবুও ভালবাসাটা তো আর কমেনা বরং কষ্ট পেলে সেটা বরং বাড়তে থাকে .বাড়তে থাকে তাকে পাওয়ার ইচ্ছাটা ,অবাধ্য হতে থাকে প্র্র্রেমটা ।


 ...............................ভাবনা

অবহেলা

তুমি জানোনা কতটা ভালবাসি তোমাকে
তোমার একটু ভালবাসা পেতে
আমি করতে পারিনা এমন কিছু নেই
তেমনি আমি মেনে নিতে পারিনা তোমার অবহেলা

তুমি জানতেও পারবেনা একটু খানি অবহেলা আর উদাসিনতা
তোমাকে আমার কাছ থেকে কত যোজন দূরে সরিয়ে দিবে 


  ...............................ভাবনা 




ভালবাসা

  নিঝুম রাতে এখনও খুব মিস করি তোমাকে
কেন জানি ঘুমাতে ইচ্ছা করে না
বার বার মোবাইলে চোখ চয়ে যায়

যদি ভুল করে বেজে ওঠে
যদি তোমার নামটা একপলক দেথতে পাই
যদি তোমার মনেও আমার মত এখনও জেগে
থাকে লুকিয়ে রাখা ভালবাসা



 ...............................ভাবনা 

বুঝে নিও ভালোবাসি

হয়তো মুখে বলবোনা তোমাকে ভালোবাসি,
বলবোনা তোমার জন্য মরতে আমি রাজি;
চাইলেই তুমি সাতসাগর দেবো পাড়ি;
অথবা আনতে পারি মুক্তা মানিক খাটি।

ছলা কলায় মিথ্যে আমি বলবোনা,
তোমায় ধোকায় ফেলে অবিশ্বাসে রাখবোনা।
তুমি চোখে চোখ রেখে পড়ে নিও,
আমার অব্যাক্ত কথার মালা।
জেনে নিও হাজারও নাবলা কথা,
পাতায় পাতায় আবেগের কালিতে লিখে রেখেছি সব।
তুমি বুঝে নিও তোমাকে আমি ভালোবাসি।
আমার জমাট বাধা অনুভূতি নাড়া দিও,
দেখতে পাবে তুমি আছো কোথায়!
হৃদয়ের গভীরে প্রানপাখি করে
-রেখেছি তোমাকে কত যতন করে।
তোমার নামেই কাপন উঠে রক্তে শিরায় ধমনীতে,
অনুভবে বুঝে নিও তোমায় কতটা ভালোবাসি।
ঘুম ভাঙা প্রহরে অকারনেই তোমায় ভাবি,
আর নির্ঘুম রাত একলা আমি জাগি।
তোমারও যদি কখনো ঘুম ভেঙ্গে যায়,
হটাত করে আর আমাকে মনে পড়ে যায়।
যদি বুকের ভেতর অচেনা কোন ব্যাথা বেজে উঠে,
তবে বুঝে নিও তুমিও আমায় ভালোবাসো।
হ্যা সত্যিই বুঝে নিও তোমাকে আমি ভালোবাসি;
নিজের চেয়েও শত সহস্র কোটি গুন বেশী।আবার কখনো গভীর ভাবে খেয়াল করে দেখো ;
যদি তোমার প্রাণের সুতোয় টান পড়ে
-আমার কিছু হলে,বুঝে নিও এমন হয় তুমি আমায় ভালো বাসো বলে .
...................................................-------এস,এ,আর আসলাম

মেঘলা-মেয়ে



এই যে দেখি মেঘলা-মেয়ে
একলা কোথায় যাওগো ধেয়ে ?
জানো না কি হেথায় আসতে মানা,
মেঘের কোলে এ সে মেয়ে
পানসি ছায়া আসছো খেয়ে
ভিজিয়ে মেঘে আপন দুখান ডানা।
ভাবছো কেন তোমার মনে
আঁধার জমে মনের কোণে
পাশেই আছে তোমার বন্ধু রাখি,
সদাই পাশে পলে ও ক্ষণে
স্মরণ করে ডেকো নির্জনে
বলবে সে জন এ মনেতে থাকি।

মেয়ে: তোমারে চাই

বেতের ফলের মতো নীলাভ ব্যথিত তোমার দুই চোখ
খুঁজেছি নক্ষত্রে আমি- কুয়াশার পাখনায়-
সন্ধ্যার নদীর জলে নামে যে আলোক
জোনাকির দেহ হতে- খুঁজেছি তোমারে সেইখানে-
ছেলে: নতুন সৌন্দর্য এক দেখিয়াছি- সকল অতীত
ঝেড়ে ফেলে- নতুন বসন্ত এক এসেছে জীবনে ;
শালিখেরা কাঁপিতেছে মাঠে মাঠে- সেইখানে শীত
শীত শুধু- তবুও আমার বুকে হৃদয়ের বনে
কখন অঘ্রান রাত শেষ হ’ল- পৌষ গেল চ’লে
যাহারে পাইনি রোমে বেবিলনে, সে এসেছে ব’লে।
____ জীবনানন্দ দাস

সাহস থেকে প্রেম


আমার শুধু ইচ্ছে করে
সঙ্গে বসে থাকি ।
হঠাৎ করে তোমার গায়ে
গোপনে হাত রাখি ।

রাখতে রাখতে সাহস হবে
সাহস থেকে প্রেম,
বুঝবে আমি শিকড়গুলো
কিভাবে ছড়ালেম ।

আমার শুধু ইচ্ছে করে
সঙ্গে ভেসে যেতে,
ভাসতে ভাসতে সবটা নদী
বুকের কাছে পেতে ।

এমনি করেই সাহস হবে
সাহস থেকে প্রেম,
তখন তুমি বুঝবে না যে
কিভাবে জড়ালেম ।

.................... -নির্মলেন্দু গুন

এমন কেন


এমন কেন,
হয়তবা কোন একদিন ভোর হবেনা,
শুধু নিশুতি রাত থাকবে বেঁচে,
তোমার প্রতিটি হৃদকম্প বাঁচবে আমার বুকে জড়িয়ে,
হয়তবা কোন বিকেল হবেনা, সারাটা উদাস দুপুর কাঁটবে চুপচুপ,
ইন্দ্রানী সেনের গানগুলো শুনতে শুনতে এলিয়ে পড়ে বিছানায়,
ক্লান্ত দেহটাকে ছুঁয়ে দিয়ে।
অবসন্নতা তোমার চোখ থেকে নেমে ঠোঁট নাইবা ছুলো,
এ শহরের বাইরে কাটুক না এমনও হাজারো দুপুর,
তুমি আমি,
মুছে যাক বিকেল ঘুঘুর স্নিগ্ধ ডাকে।
তবুও এই শহরে বেঁচে থাকতে হয়,
অঙ্গিকার নামায় সই করে হেঁটে বেড়াতে হয় রাজপথে।
জানো এখানে সকাল, আছে বিকেল আছে,
শুধু নিশুতি রাত কিংবা ক্লান্ত দুপুর নেই,
সেসব মুছে গেছে সেই কবে, আমাদের চোখের অবসন্ন ঘুমের ভীড়ে,
দুচোখ বুজে।
......................................রুদ্র রাফি।

হারিয়ে যাবো



দেখিস ঠিকই মুছে যাবো,
তোর শত অনুযোগের মাঝে হাঁফ ছেড়ে,
তোর চোখের কোণে ফাঁকি দিকে,
নীল দেয়ালের ওপাশে ঠিকই হারিয়ে যাবো,
তুই শুধু নিশুতি রাত গভীর হলে,
নির্ঘুম চোখে কান্না আঁকার ক্লান্ত প্রতিশ্রতি নিয়ে জাগবি,
আমি ঠিকই হারিয়ে যাবো,
মুছে যাবো নীল আর লাল গুলিয়ে আবির ছুয়ে, কৃষ্ণচূড়ার ডালে,তুই তখন আকুল হয়ে কাঁদবি
আর আমি ,এইতো যাচ্ছি মুছে,
দেখিস ঠিকই মুছে যাবো তোর চোখের কোণে ,
হঠাৎ ফাঁকি দিয়ে।,
তুই ভীসন একলা রবি।
আমি সত্যিই মরে যাবো নিঃশ্চুপ অন্ধকারে,
যখন তুই ঘুমিয়ে রবি।
..................................রুদ্র রাফি

অধরা


ম্লান চোখের ক্লান্ত দৃষ্টি দিয়ে ঠায় চেয়ে থাকি শুভ্র দেয়ালটার দিকে....
.হটাত'ই যেন দেয়ালটা স্বচ্ছ একটা কাচে পরিণত হতে চায়! 
ওপাশে ঝাপসা ভাবে ভেসে উঠতে থাকে আমার অগন্তি ভাবনার ছায়াগুলো.....অস্পষ্ট, অথচ কত তীব্র!
 কেমন যেন একটা দুর্নিবার ব্যকুলতার ঢেউ বয়ে যায় আমার ভিতর...
ছায়াগুলোকে ছুয়ে দেখতে ইচ্ছে করে খুব!....
অধরা রয়ে যাবার আকাঙ্খা আমার জন্মগতই !...
.তাই হয়ত কেউই আমাকে ধরে রাখতে পারেনি কখনো ..
 আমার মত আমার ভাবনারও অধরা!.
...আমি নিজেও কখনো পারিনি তাদের ধরে রাখতে বা বেধে রাখতে..
তারা শুধু সংগপনেই আসে আর যায়......
মাঝে মাঝে ঝির ঝির বৃষ্টি হয়ে ঝরে যায় আমার ভিতরটায়!

I miss U

মাঝে মাঝে তোমার কথা ভেবে আমার চোখে পানি এসে পড়ে ...
 এতটা miss করি তোমাকে ... 
আবার সাথে সাথে যখন তোমার সাথে
 কাটানো প্রিয় মুহূর্ত গুলোর কথা মনে পড়ে ,,
 তখন আমি কান্না ভেজা চোখেই হেসে উঠি.... I miss U

খুব ইচ্ছে হয়


যদি বলি এই আমি
অগোচরে যাচ্ছি ভেসে
যদি বলি আজ ভেঙ্গেচুরে
আমি শুন্য হয়ে যাই নিমিষে
যদি বলি অন্ধ এ ক্ষণ
অস্থির ভীষণ
যদি বলি অস্ফুটে,
“খুব ইচ্ছে হয়
কিছু সময় ছুঁয়ে দেবো তোমায় এক ছুটে”

কবিদের বাণী

 অন্ধকারের গল্পের আলাদা মজা আছে।
অন্ধকারে যত সহজে গল্প করা যায়।
আলোতে তত সহজে গল্প করা যায় না।
--হুমায়ূন আহমেদ


--------------------------######--------------------------

 হাসি খুশি মানুষকে বিধাতাও পছন্দ করেন।
- জন ওয়েল

 --------------------------######--------------------------
 "ও জ্ঞানী লোকদের প্রশংসা
করতে হলে তাদের অনুপস্থিতিতে কর।
কিন্তু মেয়েদের প্রশংসা তাদের
সামনেই করতে হয়। "

______ বালজা

 --------------------------######--------------------------
 যে-নারীকে ভালোবাসি তার জন্য জীবন দেওয়া যত সহজ ,তার সঙ্গে ঘর করা তত সহজ নয় ।
...... বায়রন

 --------------------------######--------------------------

 চালাক লোক সময়ের সাথে সাথে তার
অভ্যাসকে পরিবর্তন করতে কোন ভুল করে না ।
----- দায়োনিয়াস কেটো

 --------------------------######--------------------------

 বন্ধুত্ব হল কাচের মত ,
ভেঙে গেলে জোড়া লাগে না ,
যদি ও জোড়া লাগে কিন্তু দাগ থাকেই যায় !!

____রুহুল আমিন

কবিদের বাণী


 সর্বদা ছোট ছোট গুনাহ
গুলো থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখ,
কেননা মানুষ কখনও পাহাড়ের সাথে হোচট খায়না ।
ছোট পাথরের সাথে খায় ।
- হযরত আলী রাঃ


 --------------------------######--------------------------

ভালবাসাটা খুবই জরুরী।
সব কিছু রই অভাব সহ্য করা যায়,
কিন্তু ভালবাসার অভাব সহ্য করা যায় না..
--- হুমায়ূন আহমেদ

 --------------------------######--------------------------

কুৎসিত মন একটি সুন্দর মুখের সমস্ত সৌন্দর্য কেড়ে নেয় |
- লটমাস নুন

 
 --------------------------######--------------------------


একটা মেয়ের দোষ খুজে বের করতে চাইলে, মেয়েটির বান্ধবীদের
কাছে আপনি সেই মেয়েটির প্রশংসা করতে শুরু করুন ।
___ বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্ক


 --------------------------######--------------------------

এই আশায় বসে থেকো না যে তোমার বন্ধুটি সবদিক থেকেই ভালো মানুষ হবে।
তাকে ভালো মানুষ হয়ে উঠতে সাহায্য করো। এটাই শুদ্ধতম বন্ধুত্ব।’’
- মাদার তেরেসা

 --------------------------######--------------------------

কবিদের বাণী


 "মরনে ক্ষতি নাই। কিন্তু সে সময় যেন একটি স্নেহকর স্পর্শ
তাহার ললাটে পৌছে। যেন একটি করুনাদ্র স্নেহময় মুখ
দেখিতে দেখিতে এ জীবনের অন্ত হয়। মরিবার সময় যেন
কাহারও এক ফোঁটা চোখের জল
দেখিয়া সে মরিতে পারে "--- দেবদাস ( শরৎচন্দ্র)


 --------------------------######--------------------------


 “আপনি যখন কোন যন্ত্রণার মাঝে থাকেন,
মনে রাখবেন, আল্লাহ খুব
ভালো করে জানেন তিনি আপনার
জীবনে কী ঘটাচ্ছেন।”

– ইয়াসমিন মোজাহেদ


 --------------------------######--------------------------

  "যদি আপনি দুইজন মানুষকে একই সাথে ভালবাসেন, নির্বাচন করুন দ্বিতীয়
জনকে। কারণ যদি আপনি সত্যিই প্রথম
জনকে ভালোবাসতেন তাহলে কখনই দ্বিতীয় জনের প্রেমে পরতেন না।"

____শেক্সপিয়ার


 --------------------------######--------------------------

 আড্ডাই একমাএ জায়গা যেখানে মানুষ এক ফোটা সুখ নিংড়ে দিতে পারে "
----------------------------------------------------ম্যাঙ্কিম গোর্কি

***প্রকৃত বন্ধু***



বাবা মায়ের মানা করা সত্যেও আপনার জন্য কে ছুটে এসেছে?
কে আপনার প্রোয়োজনে রক্ত দিয়েছে?
কে আপনার দুঃখে আপনার কাঁধে হাত রেখে বলেছে সব ঠিক হয়ে যাবে?
কেউ কি আড্ডায় বসে আপনার মন খারাপ থাকলে আপনাকে আনন্দ দেবার চেষ্টা করেছে?
কে আপনার মনের সব সুখ দুঃখ বুঝেছে?

উত্তর খুজুন কে সে? যেই হোক সে, তিনিই আপনার প্রকৃত বন্ধু

** একজন ভাল বন্ধু**


একজন ভাল বন্ধু যখন পাশে থাকবে তখন
আমরা বুঝতে পারিনা সে কত মূল্যবান...
যখন
হারিয়ে যায় তখন বুঝি ঐ
বন্ধুকে না পাওয়ার
যন্তণা কত........

জীবন মানে যুদ্ধ

 > জীবন মানে যুদ্ধ,
যদি তুমি লড়তে পারো।
> জীবন মানে সংগ্রাম,
যদি তুমি করতে পারো।
> জীবন মানে খেলা,
যদি তুমি খেলতে পারো।
> জীবন মানে স্বপ্ন,
যদি তুমি গড়তে পারো।
> জীবন মানে কষ্ট,
যদি তুমি সইতে না পারো।
> জীবন মানে পরোপকার
যদি বুক ঝাঁজরা করতে জানো
> জীবন মানে স্তব্ধতা,
যদি তুমি বলতে না পারো।
> জীবন মানে হারিয়ে যাওয়া,
যদি তুমি ধরে রাখতে না পারো।
> জীবন মানে ভালোবাসা,
যদি হৃদয়হীন হতে পারো।
> জীবন মানে জীবন,
যদি তুমি বুঝতে পারো।
> জীবন মানে বিস্বাদ
যদি ভালবাসতে জানো
> জীবন মানে অবহেলা
যদি উপকার করতে জানো

বন্ধু তোমার বন্ধু আমি

বন্ধু তোমার চোখের মাঝে চিন্তা খেলা করে
বন্ধু তোমার কপাল জুড়ে চিন্তালোকের ছায়া,
বন্ধু তোমার নাকের ভাঁজে চিন্তা নামের কায়া
বন্ধু আমার মন ভাল নেই, তোমার কি মন ভাল?
বন্ধু তুমি একটু হেসো, একটু কথা বলো
বন্ধু আমার বন্ধু তুমি বন্ধু মোরা কজন,
তবুও বন্ধু মন হলো না আপন
......................................
বন্ধু তোমার বন্ধু আমি বন্ধু মোরা কজন,
তবুও বন্ধু ভাসি নাকো, আঁকি নাকো স্বপন

"দশ টাকায় সারা জীবন বসে খান ।"

 ফুটপাতে ছোটখাটো একটা ভিড়ের মাঝ থেকে আওয়াজ ভেসে আসছে-
"দশ টাকায় সারা জীবন বসে খান ।"
চরম কৌতুহল নিয়ে পাগলি  ভিড়ের মাঝে উঁকি দিল - তারপর দেখে
.
.
.
.
.
.
এক বৃদ্ধ কাঠের পিঁড়ি বিক্রি করছে।
প্রতিটার দাম দশ টাকা!!!

গাধারাই বিয়ে করে

আমাদের হাফিজ ভাইয়া ও তার ছেলে ছুটির দিনে চিড়িয়াখানায় বেড়াতে গেলো।
এক খাঁচার সামনে দাঁড়িয়ে বাবাকে ছোটো ছেলেটি প্রশ্ন করলো : বাবা, ঐটা কী প্রাণী?
হাফিজ ভাইয়াঃ ঐটা একটা গাধী।
ছেলে : বাবা, গাধী কী?
হাফিজ ভাইয়াঃ গাধী হলো গাধার স্ত্রীলিঙ্গ। সহজ করে বললে গাধার বউ গাধী।
ছেলে: বাবা, গাধারা কি বিয়ে করে?
হাফিজ ভাইয়াঃ (বড় দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে) : হ্যাঁ খোকা, একমাত্র গাধারাই বিয়ে করে !

ঘুম কাতর

 এমনি প্রতিদিন অফিসে ঘুমিয়ে বকা খান আমাদের ঘুম কাতর জিসান ভাই l আজ আবার লাঞ্চ আওয়ারের পরে অফিসে আসতে দেরি হওয়ায় বড় সাহেব ডেকে পাঠালেন তাকে -
বস: এখন ক'টা বাজে জিসান সাহেব?
জিসান: (কাচুমাচু হয়ে) স্যার,লাঞ্চ করে বিছানায় একটু
গা টানা দিতে গিয়ে হঠাত ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম।

 বস: এ কেমন কথা! আপনি বাসায়ও ঘুমান!

বউ এর রাগ

জলিল: আচ্ছা আবুল তোর বউ রাগ করে বাপের বাড়ি চলে গেলে তুই কি করিস!
আবুল: কেন ওদের বাসায় বেল দিয়ে পালিয়ে যাই?
আর তুই কি করিস?
জলিল: আমি ওদের বাসার T&T তে সারা রাত কল দেই।
কেউ ধরলেই লাইন কেটে দেই।

তোমার ভালোবাসা

তোমার ভালোবাসা আজ আর ছুঁয়ে যায় না আমায়.
কিন্তু তোমার ভালোবাসার সীমানা আজ ও পেরুতে পারিনি..
তোমার ভালোবাসার ছুঁয়ায় আজ আর হাসি ফোঁটায় না মুখে..
কিন্তু তোমার দুখগুলোও আজ আর আমায় কাঁদাতে পারে না..
তোমার ভালবাসার ভেলায় আজ আর ভাসতে পারি না...

তাই বলে কিন্তু ডুবতেও পারছি না...
তোমার কথাগুলো আজ আর মধুর সুর হয়ে কানে বাজে না...
তাই বলে কিন্তু আজ এ কানে অন্য কোনো সুর বাজে না..
তোমার ছোঁয়া আজ কোনো শিহরণের সৃষ্টি করে না..
তাই বলে কিন্তু আজ আর ওই মন শিহরিত হয় না..
চলে গিয়ে ও কেনো বার বার ফিরে আসও..
দুরে গিয়েও কেনো বার বার কাছে টান??

শিউলি ফুলের ডালা

তোর জন্য আমি আর শিউলি ফুলের ডালা সাজাব না।
তোর জন্য আমি আর অপেক্ষা করব না।
কিন্তু তবুও...শরতের ভোরে যখন শিউলি গাছটা ফুলে ফুলে সেজে থাকবে,গাছতলাটা হবে শিউলি ফুলের বিছানা,সবাই যখন স্বপ্নের রাজ্যে ঘুরতে ব্যস্ত থাকবে,সেই কাকডাকা ভোরে আমি একা খালি পায়ে শিউলিতলায় যাব।সবগুলো শিউলি কুড়িয়ে নিয়ে জলে ভাসাব আমি।


প্রতীক্ষায় থেকো না

 প্রতীক্ষায় থেকো না আমার
আমি আসবো না, থাকলো কথার কবুতর
কখনো বাইষ্যা মাসে পেয়ে অবসর

নিতান্তই জানতে ইচ্ছে হলে আমার খবর
পাখিকে জিজ্ঞেস করো নিরিবিলি,
পক্ষপাতহীন পাখি বিস্তারিত সংবাদ জানাবে
কী কী ব্যথা এবং আর্দ্রতা
রেখেছে দখল করে আশৈশব আমার একালা,
আমি কতো একা,
কতোখানি ক্ষত আর ক্ষতি নিয়ে
বেদনার অনুকূলে প্রবাহিত আমার জীবন।

জয়ী নই, পরাজিত নই

পাহাড়-চুড়ায় দাঁড়িয়ে মনে হয়েছিল
আমি এই পৃথিবীকে পদতলে রেখেছি
এই আক্ষরিক সত্যের কছে যুক্তি মূর্ছা যায়।
শিহরিত নির্জনতার মধ্যে বুক টন্‌‌টন করে ওঠে
হাল্‌কা মেঘের উপচ্ছায়ায় একটি ম্লান দিন
সবুজকে ধূসর হতে ডাকে

আ-দিগন্ত প্রান্তের ও টুকরো ছড়ানো টিলার উপর দিয়ে
ভেসে যায় অনৈতিহাসিক হাওয়া
অরণ্য আনে না কোনো কস্তুরীর ঘ্রাণ
কিছু নিচে ছুটন্ত মহিলার গোলাপি রুমাল উড়ে গিয়ে পড়ে
ফণমনসার ঝোপে
নিঃশব্দ পায়ে চলে যায় খরগোশ আর রোদ্দুর।

এই যে মুহূর্তে, এই যে দাঁড়িয়ে থাকা–এ‌র কোনো অর্থ নেই
ঝর্নার জলে ভেসে যায় সম্রাটের শিরস্ত্রাণ
কমলার কোয়া থেকে খসে পড়া বীজ ঢুকে পড়ে পাতাল গর্ভে
পোল্‌কা ডট্‌ দুটি প্রজাপতি তাদের আপন আপন কাজে ব্যস্ত
বাব্‌‌লা গাছের শুক্‌নো কাঁটাও দাবী করেছে প্রকৃতির প্রতিনিধিত্ব।
সব দৃশ্যই এমন নিরপেক্ষ
আমি জয়ী নই, আমি পরাজিত নই, আমি এমনই একজন মানুষ
পাহাড় চূড়ায় পৃথিবীকে পদতলে রেখে, আমার নাভিমূল
থেকে উঠে আসে বিষণ্ন, ক্লান্ত দীর্ঘশ্বাস
এই নির্জনতাই আমার ক্ষমাপ্রার্থী অশ্রুমোচনের মুহূর্ত।।

---------------------------- – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

মন ভালো নেই

বিষাদ ছুঁয়েছে আজ, মন ভালো নেই,
মন ভালো নেই;
ফাঁকা রাস্তা, শূন্য বারান্দা
সারাদিন ডাকি সাড়া নেই,
একবার ফিরেও চায় না কেউ
পথ ভুলকরে চলে যায়, এদিকে আসে না
আমি কি সহস্র সহস্র বর্ষ এভাবে
তাকিয়ে থাকবো শূন্যতার দিকে?
এই শূন্য ঘরে, এই নির্বসনে
কতোকাল, আর কতোকাল!
আজ দুঃখ ছুঁয়েছে ঘরবাড়ি,
উদ্যানে উঠেচে ক্যাকটাস্ত
কেউ নেই, কড়া নাড়ার মতো কেউ নেই,
শুধু শূন্যতার এই দীর্ঘশ্বাস, এই দীর্ঘ পদধ্বনি।
টেলিফোন ঘোরাতে ঘোরাতে আমি ক্লান্ত
ডাকতে ডাকতে একশেষ;
কেউ ডাক শোনে না, কেউ ফিরে তাকায় না
এই হিমঘরে ভাঙা চেয়ারে একা বসে আছি।
এ কী শান্তি তুমি আমাকে দিচ্ছো ঈশ্বর,
এভাবে দগ্ধ হওয়ার নাম কি বেঁচে থাকা!

 
তবু মানুষ বেঁচে থাকতে চায়, আমি বেঁচে থাকতে চাই
আমি ভালোবাসতে চাই, পাগলের মতো
ভালোবাসতে চাই-
এই কি আমার অপরাধ!
আজ বিষাদ ছুঁয়েছে বুক, বিষাদ ছুঁয়েছে বুক
মন ভালো নেই, মন ভালো নেই;
তোমার আসার কথা ছিলো, তোমার যাওয়ার
কথা ছিল-
আসা-যাওয়ার পথের ধারে
ফুল ফোটানো কথা ছিলো
সেসব কিছুই হলো না, কিছুই হলো না;
আমার ভেতরে শুধু এক কোটি বছর ধরে অশ্রুপাত
শুধু হাহাকার
শুধু শূন্যতা, শূন্যতা।
তোমার শূন্য পথের দিকে তাকাতে তাকাতে
দুই চোখ অন্ধ হয়ে গেলো,
সব নদীপথ বন্ধ হলো, তোমার সময় হলো না-
আজ সারাদিন বিষাদপর্ব, সারাদিন তুষারপাত-
মন ভালো নেই, মন ভালো নেই।


-------------------– মহাদেব সাহা

আমি তোমার নাম জানিনা

আমি তোমার নাম জানিনা
দেখলে চিনি ।
এখন আমি কোথায়
গিয়ে খুঁজবো তোমায়?
খুঁজতে খুঁজতে কোথায় যাবো?
সিরামিকের গাছগাছালি
ইটের ঝাউবনের ভেতর
কোথায় আমিখুঁজবো তোমায়?
কোথায় তোমার সৌম সকাল, শান্ত
দূপুর ?
কোথায় তোমার মুখর বিকেল,
একাকী রাত?
খুঁজবো কোথায়- ঝরা পাতায়
সাজানো ঘাস
সন্ধা বেলায়? কোথায় খুঁজবো?
এই যে আমি খুঁজছি তোমায়- কিন্তু
কেন??
— রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ

নিঃসঙ্গতা

অতোটুকু চায় নি বালিকা!
অতো শোভা, অতো স্বাধীনতা!
চেয়েছিলো আরো কিছু কম,
আয়নার দাঁড়ে দেহ মেলে দিয়ে

বসে থাকা সবটা দুপুর, চেয়েছিলো
মা বকুক, বাবা তার বেদনা দেখুক!

অতোটুকু চায় নি বালিকা!
অতো হৈ রৈ লোক, অতো ভিড়, অতো সমাগম!
চেয়েছিলো আরো কিছু কম!
একটি জলের খনি
তাকে দিক তৃষ্ণা এখনি, চেয়েছিলো
একটি পুরুষ তাকে বলুক রমণী!
-----------------------আবুল হাসান

বন্ধুত্ব

 প্রেম সব সময় বন্ধুত্বের কাছে হেরে যায়
তাকে হেরে যেতে হয়
প্রেম মেনে নিতে পারেনা ভুল করাটা
বুঝতে চায়না অসহায় অবস্থাও
কিন্তু বন্ধুত্ব জানতে চায়না ভুল
অসহায় হতে দেয়না বন্ধুকে


  ...............................ভাবনা

কষ্ট

জীবনটা আসলেই অনেক সুন্দর !
তবুও সব সুন্দরের মাঝে প্রিয় মানুষটিকে
মিস করাটা যেন নিয়তি ,
তাকে নিজের অবস্থানটা না বোঝাতে পারাটা,
সে কষ্ট পাচ্ছে জেনেও নিজে কিছু করতে না পেরে
নিজে কষ্ট পেয়ে যাওয়া



  ...............................ভাবনা 

অপেক্ষা করে আছি


আমি এখনও অপেক্ষায় থাকি তোমার জন্য
তোমার দুষ্ট চোখের চাউনি,
তোমার মিষ্টি করে বলা ভালবাসা
তোমার রাগ করে দূরে থাকা
তোমার বুঝে নেওয়া আমার অভিমান
তোমার আপ্রাণ চেষ্টা আমার মুখের হাসি ফুটানো
আমি
এখনও অপেক্ষা করে আছি .........

  ...............................ভাবনা

“তোমাকে পেতাম যদি “

প্রিয়জনকে ভুলে থাকার জন্য যতই ব্যাস্ত থাকা হোক সেটা শুধু দিনের বেলায় সীমাবদ্ধ ,
রাতের দ্বিপ্রহরে অনিচ্ছা সাত্তেও তাকে মনে পড়বেই ,
নিজের অজান্তে বুকের গভীর থেকে একটা দীর্ঘশ্বাস আপনা থেকেই বেরিয়ে আসবে ,
অকারণে চোখ ভেসে যাবে জলে ,
একবার হলেও মনে হবে “ভালবাসা মানে কষ্টের একটা আহত চরণ 
“তোমাকে পেতাম যদি “
……………………………..
ভাবনা

"এমন যদি হতো" ___সুকুমার বড়ুয়া

এমন যদি হতো
ইচ্ছে হলে আমি হতাম
প্রজাপতির মতো
নানান রঙের ফুলের পরে
বসে যেতাম চুপটি করে
খেয়াল মতো নানান ফুলের
সুবাস নিতাম কতো ।
এমন হতো যদি
পাখি হয়ে পেরিয়ে যেতাম
কত পাহাড় নদী
দেশ বিদেশের অবাক ছবি
এক পলকের দেখে সবই

সাতটি সাগর পাড়ি দিতাম
উড়ে নিরবধি ।
এমন যদি হয়
আমায় দেখে এই পৃথিবীর
সবাই পেতো ভয়
মন্দটাকে ধ্বংস করে
ভালোয় দিতাম জগৎ ভরে
খুশির জোয়ার বইয়ে দিতাম
এই দুনিয়াময় ।
এমন হবে কি ?
একটি লাফে হঠাৎ আমি
চাঁদে পৌঁছেছি !
গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে
দেখে শুনে ভালো করে
লক্ষ যুগের অন্ত আদি
জানতে ছুটেছি ।


স্মৃতি .....মহাদেব সাহা

সে আসে আমার কাছে ঘুরে ঘুরে যেন এক
স্রোতস্বিনী নদীর সুবাস,
ভালোবাসা সে যেন হৃদয়ে শুধু
ঘুরে ঘুরে কথা কয়, চোখের ভিতর হতে সুগভীর চোখের ভিতরে,
সে আসে প্রতিদিন জানালায় ভোরের রোদের মতো


বাহুলগ্ন আমার প্রেমিকা;

সে আসে প্রত্যহ এই আলোকিত উজ্জ্বল শহরে, ইতিহাস
আরো সব কিংবদন্তী কথা কয় আমার স্মৃতিতে, সে আসে
দূর থেকে মনে হয় শ্যামল ছায়ায় ভরা যেন এক
হরিণীর চোখ, অথবা রোদের সুরভিমাখা হেমন্তের শিশির সকাল
সে আসে আমার কাছে নুয়ে পড়ে আমলকী বন;
সে আসে আমার কাছে ভরে ওঠে বছরের শূন্য খামার
নদীতে সহসা ওড়ে মাছরঙ নায়ের বাদাম
ক্ষেতের দরাজ দেহ সিক্ত করে মেঘের মৈথুন,
সে আসে আমার কাছে
ফুটে ওঠে নিসর্গের নিবিড় কদম
সে আসে আমার কাছে ঘুরে ঘুরে নদীর স্রোতের মতো
জলে-ভাসা ভেলা।

ভালোবাসি তোমায়

আমি নোনা জলে সিক্ত ঠোটে
একচিলতে হাসি চাই,
আমি সমুদ্রতীরে গোধূলী লগ্নে
নগ্ন পায়ে হাটতে চাই।
আমি পাহাড় চূড়ায় দাঁড়িয়ে
চিৎকার করে বলতে চাই-

ভালোবাসি!
অনেক বেশী ভালোবাসি তোমায়।
শুধু তোমার জন্য,
আমি আর একবার হাসতে চাই,
আর একবার প্রানখুলে বাচতে চাই,
আর একবার নিশ্বাস ভরা বুকে বলতে চাই
ভালোবাসি!
অনেক বেশী ভালোবাসি তোমায় !

দীর্ঘশ্বাস



 দীর্ঘশ্বাস তোমার রুক্ষ দেয়াল ছুঁয়ে
বিবর্ণ রাত্রি কাটে বিমূর্ত সময়
প্রার্থনা তোমার হারিয়ে যায় অন্ধকারে
স্তব্ধ এই বদ্ধঘরে অস্পষ্ট স্বরে
পারবে কি ভেঙে দিতে এই দেয়াল?
পারবে কি ছেড়ে যেতে এই বাঁধন?
ধূলোমাখা জানালার আলো ছাড়িয়ে
পারবে কি ফিরে যেতে আবার?


I Love you

মেহেদী : আমি তোমার মুখ দিয়ে I Love you
কথাটা বের করব- ই !!
মেয়ে: পারবা না !
মেহেদী : বাজি!!
মেয়ে : ওকে
মেহেদী : বল Pink
মেয়ে : Pink
মেহেদী: বল Red
মেয়ে : Red
মেহেদী : বল ১৯
মেয়ে : ১৯
মেহেদী: বল আমার বয়স ১৯
মেয়ে : আমার বয়স ১৯

 মেহেদী : ইয়ে আমি জিতেছি !!
মেয়ে : কিভাবে ?
মেহেদী : আমি বলেছি তোমার মুখ দিয়ে আমার বয়স
১৯ এই কথাটা বের করব !!
মেয়ে :মিথ্যা কথা, তুমি বলেছ I Love
you কথাটা বের করবা !
মেহেদী: এখন তো Love you বলেই ফেলেছ!

কষ্ট সহজ

কষ্ট সহজ,
বুকের ভেতর কষ্ট পোষা, সহজ না ...
স্পর্শ সহজ,
হৃদয় দিয়ে হৃদয় ছোঁয়া, সহজ না ...
ইচ্ছে হলেই কাঁদাও তুমি, কান্না সহজ;
পাখির মতো ওড়াও দেখি! হাসাও দেখি!

সুখের স্রোতে মাতাল হৃদয় ভাসাও দেখি!
সহজ না

দুঃখ সহজ,
হত্যা সহজ,
জীবন সহজ ...
শুদ্ধতম জীবনযাপন, সহজ না ...

ভাবতে পারো অনেক সহজ, অ-নে-ক সহজ ...
বুক-ঝিনুকে মুক্তা হওয়া; সহজ না ...

 : ভালবেসে পাথর বুকে ফুল ফোটানো সহজ না

কবিদের বাণী

  “আপনি যখন কোন যন্ত্রণার মাঝে থাকেন,
মনে রাখবেন, আল্লাহ খুব
ভালো করে জানেন তিনি আপনার
জীবনে কী ঘটাচ্ছেন।”
– ইয়াসমিন মোজাহেদ



 --------------------------######--------------------------

  দিতে যে পারে না , পাওয়া তার ঘটে না ।
......................শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচদ্র


 --------------------------######--------------------------

  মেয়েদের অনুমান পুরুষদের নিশ্চয়তা হতে অনেক বেশি ঠিক ।

-কিপলিং

 --------------------------######--------------------------



মেয়েদের মন পৃথিবীর সবচেয়ে স্পর্শকাতর জায়গা।
এই মন অনেক কঠিন বিষয় সহজে মেনে নেয়,
আবার অনেক সহজ বিষয় সহজে মেনে নিতে পারে না।

___হুমায়ূন আহমেদ

কবিদের বাণী

 "পৃথিবীর নিয়ম বড় অদ্ভুত , যাকে তুমি সবচেয়ে বেশী ভালবাস
সেই তোমার দু:খের কারন হবে।"


-সমরেশ মজুমদার


  --------------------------######--------------------------
  যতো দূরে ইচ্ছে হয় যাও।
বিশ্বাসী স্বপ্নের কাছে জেনে নেবো সঠিক ঠিকানা।

- রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ


--------------------------######--------------------------

 আড্ডাই একমাএ জায়গা যেখানে মানুষ এক ফোটা সুখ নিংড়ে দিতে পারে "
----------------------------------------------------ম্যাঙ্কিম গোর্কি

বেঁচে আছি এই তো আনন্দ ---মহাদেব সাহা।

বেঁচে আছি এই তো আনন্দ,
এই আনন্দের জন্য আমি
সবকিছু মাথা পেতে নেবো,
যে কোনো দুঃখ, যে কোনো শাস্তি--
শুধু এই ভোরের একটু আলো দ্যাখার জন্য
আমি পথের ভিক্ষুক হতে রাজি।

এই যে গোলাপ ফুলটির দিকে যতোক্ষণ খুশি
তাকিয়ে থাকতে পারি
এই সুখে আমি হাসিমুখে সব দুঃখ
মাথা পেতে নেবো।
বেঁচে আছি এই তো আনন্দ, এই আনন্দের কাছে
কোনো দুঃখই কিছু নয়
এই নির্বাসন, এই শাস্তি,
এই দ্বীপান্তর;
এই মেঘ, এই ঝুম বৃষ্টি, এই শিশিরের শব্দের জন্য
আমি সহস্র বছরের কারাদন্ড মাথায় নিয়েও
বেঁচে থাকতে চাই।
বেঁচে আছি এই তো আনন্দ, এই আনন্দে সব
আঘাত আমি মাথা পেতে নেবো।