তুমি কি মানুষ?
আজকের দিনটি একটু বেশি বিশেষ।
আজ পিয়াসের চাকরি হয়েছে।
চাকরি নিয়ে ব্যাস্ত ছিল শেষ কয়দিন।
খুশির খবর বিশেষ দিনটির জন্য
জমা রেখেছিল।
- এত দিন কই ছিলে?
- পৃথিবীতে
- পৃথিবীর কোথায়?
- বলা যাচ্ছে না
- আজ কেনো এলে?
- তুমি ডেকেছ
- না ডাকলে আসতে?
- উহু
বিপাশা পিয়াসের থেকে চোখ ফিরিয়ে
অন্য দিকে তাকালো।
তার মনে হচ্ছে অপরিচিত
কারো সাথে কথা বলছে। তার
পাশে যে বসে আছে সে পিয়াস না। এক
সপ্তাহ খুব বেশি সময় না।
এই অল্প সময়ে পিয়াস বদলে যাবে ভাবেনি
বিপাশা।
আজ তার বিশেষ একটি দিন।
অন্য কারো জন্য না হলেও সে ভেবেছিল
পিয়াসের জন্য দিনটি বিশেষ।
তার ধারনা ভুল।
বিপাশা পিয়াসের সে বিশেষ মানুষটি
হয়ত নেই।
পিয়াসের মনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হচ্ছে।
বিপাশার
কাঁদো কাঁদো মুখ দেখে খারাপ লাগছে
তার।
এতটা করা উচিত হচ্ছে না। না করে থাকার
লোভ
সাম্লাতে পারছে না সে।
- বিপাশা?
- হুম
- কাদছ?
- আমি কাঁদছি না
- চোখে পানি ...
- থাকুক
- কান্না শেষ হলে বলো
- আমি কাঁদলে তোমার কি?
- কান্নার সময় খুশির খবর মানায়?
- খুশির খবর? বিয়ে করছ নিশ্চয় .....
- উহু, চাকরি পেলাম
চমকে পিয়াসের দিকে তাকালো বিপাশা।
চেহারা যথেষ্ট বিস্ময়ের ছাপ।
- হুম
- চাকরি !!!
- হুম্
- এখন বলছ?
- তোমাকেই বললাম কেবল
- আগে বললে হতো না?
- না
চেহারায় মূহুর্তে রাগ সরে গিয়ে চেহারায়
হাসির
রেখা ফুটলো বিপাশার।
হঠাৎ এমন খবর শুনবে ভাবেনি।
এত দিনে দেখা না করার কারন তাহলে
এটি?
সন্ধা নামছে। পার্কে বসে থাকা মানুষ
গুলো বাড়ির পথ ধরেছে।
বিপাশার চেহারায় হাসির রেখাটি নেই।
কিছুটা অভিমান ভর করেছে তাতে।
আজ তার জন্মদিন।
এই দিনটিও পিয়াসের জানা নেই !!
হাটতে গিয়ে থমকে দাঁড়ায় পিয়াস।
সঙ্গে করে আনা ব্যাগ থেকে ফুলের মালা
বের করে।
বেলী ফুল, বিপাশার বেশ পছন্দের।
সন্ধা নেমেছে পুরোপুরি।
আকাশে থাকা পূর্নিমা চাঁদ আলো ছড়াতে
শুরু করছে।
আকাশে ভাসতে থাকা পূর্ণিমার চাঁদের
দিকে খেয়াল নেই পিয়াসের।
তার সামনে পৃথিবীর
সুন্দর চাঁদটি দাড়িয়ে আছে।
মাথায় বেলী ফুলের
খোপা, তার সুন্দর্য বাড়িয়েছে দিগুন।
বিপাশার চোখে পানি।
নিজের উপরই রাগ
লাগছে তার।
পিয়াস বদলায় নি।
ঠিক আগের মতই আছে।
ভালবাসার মানুষ কখনও বদলায় না।
পিয়াসের দিকে তাকিয়ে হেসে দেয়
বিপাশা।
তার মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি চেপেছে।
পরপর দুটি সারপ্রাইজ।
বিশেষ দিনটিকে আরো বিশেষ করা
যায়না
- হু
- তুমি নিজেকে মানুষ ভাবো?
- দুর্ভাগ্য, ভাবতে হয়
- আমার দূরভাগ্য কি জানো?
- হু
- তোমার মত মানুষকে ভালোবাসাটা
আমার বোকামি ছিল
- ভালো
- তোমার ইয়ার্কি লাগছে?
- না, যুক্তি নিয়ে কথা বললাম
- কি যুক্তি
- মানুষ প্রথমবার বোকামি করে,
দ্বিতীয়বার না।
তুমি নিশ্চয় দ্বিতীয়বার বোকামিটা করবে
না?
- মানে?
- মানে নেই
বিপাশা এক দৃষ্টিতে পিয়াসের
দিকে তাকিয়ে থাকে।
তার ইচ্ছে হচ্ছে পিয়াসের গালে চর
বসাতে।
পাবলিক প্লেসে বিয়েফকে চর মারার
বিষয়টা মোটেও স্বাভাবিক দেখাবে না।
পিয়াস চুপ করে বসে আছে বিপাশা কি
বলে শোনার
জন্য। বিপাশার রাগটা জায়েজ। এক সপ্তাহ
পর
কথা হচ্ছে তাদের।
এক সপ্তাহ অনেক সময়।
বিপাশার জন্য বছর বলা যায়।
এই এক সপ্তাহে পিয়াস ব্যস্ত ছিল। ব্যস্ত
তা শেষ হয়েছে গতকাল।
আজ বিশেষ দিন।
বিশেষ দিন গুলোতে প্রিয় জনের সাথে
দেখা করা যায়।
- তুমি নিজেকে মানুষ ভাবো?
- দুর্ভাগ্য, ভাবতে হয়
- আমার দূরভাগ্য কি জানো?
- হু
- তোমার মত মানুষকে ভালোবাসাটা
আমার বোকামি ছিল
- ভালো
- তোমার ইয়ার্কি লাগছে?
- না, যুক্তি নিয়ে কথা বললাম
- কি যুক্তি
- মানুষ প্রথমবার বোকামি করে,
দ্বিতীয়বার না।
তুমি নিশ্চয় দ্বিতীয়বার বোকামিটা করবে
না?
- মানে?
- মানে নেই
বিপাশা এক দৃষ্টিতে পিয়াসের
দিকে তাকিয়ে থাকে।
তার ইচ্ছে হচ্ছে পিয়াসের গালে চর
বসাতে।
পাবলিক প্লেসে বিয়েফকে চর মারার
বিষয়টা মোটেও স্বাভাবিক দেখাবে না।
পিয়াস চুপ করে বসে আছে বিপাশা কি
বলে শোনার
জন্য। বিপাশার রাগটা জায়েজ। এক সপ্তাহ
পর
কথা হচ্ছে তাদের।
এক সপ্তাহ অনেক সময়।
বিপাশার জন্য বছর বলা যায়।
এই এক সপ্তাহে পিয়াস ব্যস্ত ছিল। ব্যস্ত
তা শেষ হয়েছে গতকাল।
আজ বিশেষ দিন।
বিশেষ দিন গুলোতে প্রিয় জনের সাথে
দেখা করা যায়।
আজকের দিনটি একটু বেশি বিশেষ।
আজ পিয়াসের চাকরি হয়েছে।
চাকরি নিয়ে ব্যাস্ত ছিল শেষ কয়দিন।
খুশির খবর বিশেষ দিনটির জন্য
জমা রেখেছিল।
- এত দিন কই ছিলে?
- পৃথিবীতে
- পৃথিবীর কোথায়?
- বলা যাচ্ছে না
- আজ কেনো এলে?
- তুমি ডেকেছ
- না ডাকলে আসতে?
- উহু
বিপাশা পিয়াসের থেকে চোখ ফিরিয়ে
অন্য দিকে তাকালো।
তার মনে হচ্ছে অপরিচিত
কারো সাথে কথা বলছে। তার
পাশে যে বসে আছে সে পিয়াস না। এক
সপ্তাহ খুব বেশি সময় না।
এই অল্প সময়ে পিয়াস বদলে যাবে ভাবেনি
বিপাশা।
আজ তার বিশেষ একটি দিন।
অন্য কারো জন্য না হলেও সে ভেবেছিল
পিয়াসের জন্য দিনটি বিশেষ।
তার ধারনা ভুল।
বিপাশা পিয়াসের সে বিশেষ মানুষটি
হয়ত নেই।
পিয়াসের মনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হচ্ছে।
বিপাশার
কাঁদো কাঁদো মুখ দেখে খারাপ লাগছে
তার।
এতটা করা উচিত হচ্ছে না। না করে থাকার
লোভ
সাম্লাতে পারছে না সে।
- বিপাশা?
- হুম
- কাদছ?
- আমি কাঁদছি না
- চোখে পানি ...
- থাকুক
- কান্না শেষ হলে বলো
- আমি কাঁদলে তোমার কি?
- কান্নার সময় খুশির খবর মানায়?
- খুশির খবর? বিয়ে করছ নিশ্চয় .....
- উহু, চাকরি পেলাম
চমকে পিয়াসের দিকে তাকালো বিপাশা।
চেহারা যথেষ্ট বিস্ময়ের ছাপ।
- হুম
- চাকরি !!!
- হুম্
- এখন বলছ?
- তোমাকেই বললাম কেবল
- আগে বললে হতো না?
- না
চেহারায় মূহুর্তে রাগ সরে গিয়ে চেহারায়
হাসির
রেখা ফুটলো বিপাশার।
হঠাৎ এমন খবর শুনবে ভাবেনি।
এত দিনে দেখা না করার কারন তাহলে
এটি?
সন্ধা নামছে। পার্কে বসে থাকা মানুষ
গুলো বাড়ির পথ ধরেছে।
বিপাশার চেহারায় হাসির রেখাটি নেই।
কিছুটা অভিমান ভর করেছে তাতে।
আজ তার জন্মদিন।
এই দিনটিও পিয়াসের জানা নেই !!
হাটতে গিয়ে থমকে দাঁড়ায় পিয়াস।
সঙ্গে করে আনা ব্যাগ থেকে ফুলের মালা
বের করে।
বেলী ফুল, বিপাশার বেশ পছন্দের।
সন্ধা নেমেছে পুরোপুরি।
আকাশে থাকা পূর্নিমা চাঁদ আলো ছড়াতে
শুরু করছে।
আকাশে ভাসতে থাকা পূর্ণিমার চাঁদের
দিকে খেয়াল নেই পিয়াসের।
তার সামনে পৃথিবীর
সুন্দর চাঁদটি দাড়িয়ে আছে।
মাথায় বেলী ফুলের
খোপা, তার সুন্দর্য বাড়িয়েছে দিগুন।
বিপাশার চোখে পানি।
নিজের উপরই রাগ
লাগছে তার।
পিয়াস বদলায় নি।
ঠিক আগের মতই আছে।
ভালবাসার মানুষ কখনও বদলায় না।
পিয়াসের দিকে তাকিয়ে হেসে দেয়
বিপাশা।
তার মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি চেপেছে।
পরপর দুটি সারপ্রাইজ।
বিশেষ দিনটিকে আরো বিশেষ করা
যায়না
0 comments:
Post a Comment